গোপালগঞ্জের পবিত্র মাটিতে প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি নজরুল কলেজ, সাতপাড়। বিশ্ব-বরেণ্য বিদ্রোহী কবি এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়। ১৯৬৭ সালে সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ স্বর্গীয় বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের প্রচেষ্টায় এই কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে উত্তর গোপালগঞ্জে নবজাগরণ ঘটিয়ে চলেছে। ১৯৮৮ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করার পর থেকে শুধু গোপালগঞ্জ নয় সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার জন্য ছুটে আসছে এই কলেজ ক্যাম্পাসে। গোপালগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এলাকার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ ও মেধাবী একদল শ্রদ্ধেয় অধ্যাপকমন্ডলীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় আজ একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি ডিগ্রি (পাস) কোর্স, বাংলা বিষয়ে অনার্স কোর্সে পাঠদান করানো হচ্ছে। এই কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি ও খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও জাতীয়স্তরে অনন্য মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। রোভার স্কাউট ও বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততা, নৈতিকতা, মানবিকতা, দেশপ্রেম, সহনশীলতা ও সহমর্মিতার গুণাবলিকে জাগ্রত করে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

আমি এই এতিহ্যবাহী কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়ায় নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে গোপালগঞ্জের শতশত ছেলে-মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পেয়েছে এবং উচ্চ শিক্ষা লাভ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অধ্যাপনাসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদে আসীন থেকে তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে এবং দেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি করছে। কলেজের অতীত গৌরব ও ঐতিহ্য বজায় রাখার ধারাবাহিকতায় রূপসী বাংলার অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাতপাড়ের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা কলেজটিকে বাংলাদেশের একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার মানসে আমি একদল পরিশ্রমী শিক্ষানুরাগী অধ্যাপকমন্ডলী ও কর্মকর্তাদের সহায়তায় সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে সকল কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। অদূর ভবিষ্যতে সরকারি নজরুল কলেজটি দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।